জেনে নিন সুখে থাকার উপায় সমূহসংবাদচর্চা ডেস্ক:
একটু সুখ পেতে কে না চায়? এ সুখের জন্য বর্তমানে মানুষ নানা ভালো মন্দ কাজ করে থাকে। আমরা প্রত্যেকেই যে যার মতো সুখে থাকতে চাই। এর মূল চাবিকাঠি রয়েছে নিজের হাতেই। প্রতিদিনের চলার পথ যত বন্ধুরই হোক না কেন, নিজেই পথটা তৈরি করে নিতে পারেন।
নিজেকে অন্যের সঙ্গে তুলনা না করা
‘ওর ওটা আছে, আমার নেই কেন’—এ ধরনের চিন্তা আপনার নিজ মানসিক শক্তিকেই কমিয়ে দেয়। মনে রাখুন, সবার প্রতিভা এক নয়। এমনকি দীর্ঘ মেয়াদে আপনার মধ্যে হতাশা কাজ করবে। কারও হয়তো পড়াশোনায় মেধা আছে, আবার কারও খেলাধুলায়। তাই চেষ্টা করুন নিজের প্রতিভাকে বিকশিত করার।
নেতিবাচক চিন্তা আর নয়
আগামীকাল পরীক্ষা আর আজ রাতে আপনার মনে ভিড় করল হাজারো দুশ্চিন্তা, যার অধিকাংশই নেতিবাচক। খুব সহজ ভাষায় এ ধরনের চিন্তা থেকে নিজেকে দূরে রাখুন। শুধু এমন চিন্তাই নয়, নেতিবাচক মানুষ এবং আলোচনা থেকেও সরে আসুন। কেননা, আপনার পরিধি নিজেই বুঝবেন, অন্যের কথায় সহজেই প্রভাবিত হওয়ার কিছু নেই।.
ইতিবাচক থাকুন
আপনি কাজটা যেভাবে করবেন, তার ফলটাও সে রকমই হবে। এটা মাথায় রেখেই কাজে লেগে পড়ুন। শেষ বিকেলে কী হবে তার জন্য চিন্তা না করে নিজেকে আশ্বাস দিন। প্রতিটি ঘটনারই দুটি দিক থাকে—ইতিবাচক ও নেতিবাচক। চেষ্টা করুন সব সময় ইতিবাচক দিকগুলো খুঁজে বের করার। এর ভালো দিকটা আপনি নিজেই দেখতে পাবেন।
নিজেকে ভালোবাসুন
সবার আগে নিজেকে ভালোবাসতে শিখুন। সময় বরাদ্দ রাখুন কিছুটা নিজেরও জন্য। আপনার প্রিয় মানুষটি কাছে নেই? আপনি নিজেই ব্যস্ত হয়ে পড়ুন না! ঘুরে আসুন কোথাও কিংবা শখের বিষয়গুলো চর্চা করুন। কিংবা পরিবারের সবার জন্য কিছু একটা রান্না করে ফেলুন ঝটপট।
ঠিকমতো খাবার ও ঘুম
শরীর ও মন একটি আরেকটির ওপর নির্ভরশীল। তাই একটি নির্দিষ্ট রুটিন অনুযায়ী চলার চেষ্টা করুন। যেমন পরিমিত পরিমাণে খাবার ও ঘুম। এ ছাড়া প্রতিদিন সকালে কিংবা সন্ধ্যায় শারীরিক ব্যায়াম বা ইয়োগা করতে পারেন। এতে দুশ্চিন্তা অনেকটাই লাঘব হয়।
পরিবার ও বন্ধুর সঙ্গে সময় উপভোগ
বন্ধুমহল কিংবা পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান। তাদের সঙ্গে আলোচনা করুন। এতে দুই পক্ষই খুশি হবে। এমন অনেক ব্যাপার থাকে, যা আমরা প্রিয় মানুষটির চেয়ে বন্ধুটির কাছে প্রকাশ করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। তাই কিছুটা সময় বন্ধু মানুষটির সঙ্গে বেড়িয়ে আসুন।
কিছু বিষয়কে যেতে দিন
সব কাজেই যে প্রথম হতে হবে এমন চিন্তা ঝেড়ে ফেলুন। প্রতিটা কাজেই সময় নিয়ে চিন্তা করুন এবং মনে করুন, ‘সামনে ভালো কিছু অপেক্ষা করছে।’
অন্যের প্রতি সহযোগিতা
অনেকেই পাশের মানুষের ব্যবহারে কষ্ট পেয়ে থাকেন। কিন্তু ভেবে দেখার চেষ্টা করুন, সেই মানুষটি কেন এমন করেছেন। সমানুভূতি থেকেই এমনটি করা সম্ভব। তাই সব সময় নিজের ব্যাপারগুলো না দেখে অন্যদের সমস্যাগুলোও বোঝার চেষ্টা করুন।
আস্থা রাখুন নিজের ওপর
যত যাই হোক, নিজেকে বোঝার ক্ষমতা আপনারই আছে। সব নেতিবাচকতা এড়িয়ে নিজেকে অভয় দিন, ‘দিন শেষে আমিই জয়ী!’
কৃতজ্ঞ থাকুন
দিন শেষে যখন নীড়ে ফিরবেন, তখন চিন্তা করুন আপনি কতটা সফল। অনেকেই আছেন, ঠিক আপনার জীবনটাই পাওয়ার জন্য সংগ্রাম করে যাচ্ছেন।